আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয় : হারল পাকিস্তান

আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয় : হারল পাকিস্তান

চ্যানেল নিউজ : ওয়ানডে ক্রিকেটে সবমিলিয়ে সাতবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। যার সবকটিতেই হারের তেতো স্বাদ পায় আফগানরা। অবশেষে অষ্টমবারের দেখায় সেই আক্ষেপ ঘুচে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে হারালো জোনাথন ট্রটের শিষ্যরা।

সোমবার চেন্নাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮২ রান করে পাকিস্তান। এতে আফগানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগান আটলানরা।

আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। এরপরই ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এ দুই ওপেনার।

ম্যাচের ১৫তম ওভারে উসামা মীরের বলটি লং অফে ঠেলে অর্ধ শতক পূর্ণ করে ইব্রাহিম জাদরান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করে তিনি খেলেন ৫৪ বল।

ইব্রাহিমের পর ফিফটি হাঁকিয়েছেন আরেক আফগান ওপেনার গুরবাজও। ৩৮ বলে অর্ধ শতক তুলে নেন তিনি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। আফ্রিদির বলে উসামার তালুবন্দী হওয়ার আগে ৬০ করেন এ ব্যাটার।

এরপর বাইশ গজে আসেন রহমত শাহ। তার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। কিন্তু সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা ইব্রাহিমকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান আলী।

পরে ক্রিজে আসেন আফগান দলপতি হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তাকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আফগান দলপতি হাশমতউল্লাহ শাহিদী।

এদিন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ একটি করে উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান যোগ করেন ইমাম ও শফিক। তবে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে শুরু হতেই পাক শিবিরে আঘাত হানে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার বলে নাভিন উল হকের তালুবন্দী হন ১৭ রান করা ইমাম।

ইমাম ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শফিক। সেই ধারাবাহিকতায় ইনিংসের ১৯তম ওভারে রশিদ খানের বলে দুই রান নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছান তিনি। চলতি আসরে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশতক।

অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি শফিক। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই শফিককে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন নুর আহমেদ। আউট হওয়ার ৫৮ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে উইকেট থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তবে সৌদ শাকিলকে নিয়ে ছোট্ট জুটি গড়েন বাবর আজম। কিন্তু সেট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে যান শাকিলও (২৫)।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে বাবরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় মেন ইন গ্রিনরা। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩০তম অর্ধ শতক তুলে নেন পাক দলপতি।

দলকে স্বস্তি দিয়ে নিজেই সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তান দলপতি। নুরের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৪ রান করেন এ ব্যাটার।

তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন ইফতেখার আহমেদ। তাকে সঙ্গে নিয়ে আফগান বোলারদের তুলোধুনো করেন শাদাব। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান। এতে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ২৮২ রানে।

এদিন আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নুর আহমেদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

themesbazartvsite-01713478536