আপনার অকাল মৃত্যুতে আমরা আমাদের একজন সৎজন মানুষ ও অভিভাবক হারালাম। 

আপনার অকাল মৃত্যুতে আমরা আমাদের একজন সৎজন মানুষ ও অভিভাবক হারালাম। 

ছাত্র হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট (বি.এ.পাস) ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষা জীবনের ইতি টেনে সার্বক্ষণিক রাজনীতি ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বে মার্চের অগ্নিঝরা দিনগুলিতে তৎকালীন স্কুল পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি পৌর এলাকার প্রতিটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন।
অতঃপর ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রথমে ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং এপ্রিল থেকে ২য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে ১৭ বছর বয়সে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও মহকুমা ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি প্রথম ১৯৭৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে পরপর দুইবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৮০ সালে তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা প্রতিষ্ঠা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যি একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করেন।
সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি হুলিয়া ও পুলিশের নির্যাতন ভোগ সহ ১৯৮৭-১৯৮৮ প্রায় এক বছর বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাবন্দি ছিলেন।
তিনি ১৯৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবিন্ধীদের সংগঠিত করে তাদের কল্যাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মূক ও বধির সংঘ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৩ সালে বিএনপি’র শাসনামলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করেন।
১৯৯৪ সালে সোসাইটি অব দ্যা ইন্টেল্যাকচ্যুয়ালী ডিজিবল( সুইড বাংলাদেশ) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে আছমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনারত মিসেস জিনাত আখতারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। মাহিন আল-মামুন তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান তাদের পরবর্তী উত্তরাধিকার। রাজনীতিতে তিনি শতভাগ সফল হলেও বাবা হিসাবে সফল হতে পারেনি।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে পর অনেক বছর রাজনীতিকে দূরে ছিলেন, তখন তিনি সমাজসেবা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, কল্যাণ ও উন্নয়নে ভূমিকা ও অবদানের জন্য ২০১৭ সালে সমাজসেবায় জাতীয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও স্বীকৃতি অর্জন করেন।এছাড়া ২০২১ সালে ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ জাতীয় সমাজকল্যাণ পদক লাভ করেন।
২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড: লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুর পর রাজনীতির মাঠে নামলেও ঝেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব:) জহিরুল ইসলাম বীরপ্রতীক এর মৃত্যুর আনপ্যারালাল হয়ে উঠেন বহু নাটকীয়তা জন্মদাতা  আল-মামুন সরকার।
২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে অনূষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অধিবেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
২০২২ সালে পূর্নরায় বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৫ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী না হয়েও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রতক্ষ্য ভোটে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়।
মৃত্যুর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট এর সভাপতি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালক ছিলেন।
ছাত্র হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট (বি..পাসডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষা জীবনের ইতি টেনে সার্বক্ষণিক রাজনীতি  সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বে মার্চের অগ্নিঝরা দিনগুলিতে তৎকালীন স্কুল পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি পৌর এলাকার প্রতিটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন।
অতঃপর ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রথমে ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং এপ্রিল থেকে ২য় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে ১৭ বছর বয়সে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও মহকুমা ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
 
তিনি প্রথম ১৯৭৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
 
পরবর্তীতে পরপর দুইবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যকেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্যব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৮০ সালে তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা প্রতিষ্ঠা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যি একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করেন।
সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি হুলিয়া ও পুলিশের নির্যাতন ভোগ সহ ১৯৮৭-১৯৮৮ প্রায় এক বছর বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাবন্দি ছিলেন।
তিনি ১৯৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবিন্ধীদের সংগঠিত করে তাদের কল্যাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মূক ও বধির সংঘ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। 
১৯৯৩ সালে বিএনপি শাসনামলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করেন।
১৯৯৪ সালে সোসাইটি অব দ্যা ইন্টেল্যাকচ্যুয়ালী ডিজিবল( সুইড বাংলাদেশ) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে আছমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনারত মিসেস জিনাত আখতারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। মাহিন আল-মামুন তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান তাদের পরবর্তী উত্তরাধিকার। রাজনীতিতে তিনি শতভাগ সফল হলেও বাবা হিসাবে সফল হতে পারেনি।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে পর অনেক বছর রাজনীতিকে দূরে ছিলেন, তখন তিনি সমাজসেবা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, কল্যাণ ও উন্নয়নে ভূমিকা ও অবদানের জন্য ২০১৭ সালে সমাজসেবায় জাতীয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও স্বীকৃতি অর্জন করেন।এছাড়া ২০২১ সালে ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ জাতীয় সমাজকল্যাণ পদক লাভ করেন।
 
২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড: লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুর পর রাজনীতির মাঠে নামলেও ঝেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব:) জহিরুল ইসলাম বীরপ্রতীক এর মৃত্যুর আনপ্যারালাল হয়ে উঠেন বহু নাটকীয়তা জন্মদাতা  আল-মামুন সরকার।
 
২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে অনূষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অধিবেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
২০২২ সালে পূর্নরায় বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৫ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী না হয়েও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রতক্ষ্য ভোটে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়।
 
মৃত্যুর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট এর সভাপতি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালক ছিলেন।
 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

themesbazartvsite-01713478536